কক্সবাজারের উখিয়া পালংখালী এলাকা হতে দেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ ১২০ কোটি টাকার ২৪ কেজি অবৈধ মাদক আইসের (ক্রিস্টাল মেথ) চালান জব্দ করেছে র্যাব। এ সময় গ্রেফতার করা হয়েছে পুলিশের চাকরিচ্যুত কনস্টেবল আলাউদ্দিন ও ইরান মাঝিসহ চারজনকে। শনিবার ৬ মে রাতে র্যাবের একটি দল অভিযান চালিয়ে আইসের সর্ববৃহৎ চালানটি জব্দ করে।
এর আগে গত ২৬ এপ্রিল পালংখালীর বালুখালী এলাকা থেকে ২১ কেজি ৯০ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস জব্দ করেছিল বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। ১০ দিনের মাথায় আইসের বৃহত্তম চালানটি আটক করল র্যাব। রোববার দুপুরে র্যাব-১৫ এর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল খন্দকার আল মঈন জানান, দুদিন আগে এই চালানটি মিয়ানমার থেকে আনা হয়। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব এ অভিযান পরিচালনা করে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সীমান্তবর্তী এলাকা উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়ন দিয়ে মিয়ানমার থেকে মাদকের বড় একটি চালান পাচারের খবর পায় র্যাব। এই গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাবের একটি দল ওই এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানের একপর্যায়ে ২৪ কেজি আইসের চালান উদ্ধার করা হয়। এ সময় সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয় চারজনকে। উদ্ধার করা ক্রিস্টাল মেথের চালানটি দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ চালান।
মাদকের বড় এই চালানটি উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মজুদের উদ্দেশ্য ছিল চোরাকারবারিদের। পরে এগুলো ছোট ছোট চালান করে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করা হতো। র্যাব বলছে, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে পুলিশের চাকরিচ্যুত কনস্টেবল আলাউদ্দিন রয়েছেন। ২০১৭ সালে মাদকের একটি মামলার আসামি হলে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এরপর থেকে তিনি মাদকের ব্যবসা পুরোদমে চালাতে থাকেন।
বর্তমানে তিনি মাদকের অন্যতম একজন গডফাদার হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। ইতোপূর্বে ২১ কেজি আইস উদ্ধার মামলায় গ্রেফতারকৃত বুজরুজ মিয়ার ভগিনীপতি হলেন চাকরিচ্যুত এই পুলিশ কনস্টেবল আলাউদ্দিন। তারা দীর্ঘদিন ধরেই আইসের বড় বড় চালান এনে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে আসছিলেন। অঢেল সম্পদের মালিক বনে যাওয়া আলাউদ্দিন মাদক কারবারিদের মধ্যে অন্যতম। গ্রেফতারকৃত চারজনের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানায় র্যাব।